আজ ২রা কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ, ১৮ই অক্টোবর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সন্ত্রাসী হামলায় করিমগঞ্জ সরকারি কলেজের শিক্ষার্তীসহ ৪জন আহত

ভোরের আলো বিডি ডেস্কঃ

কিশোরগঞ্জে সন্ত্রাসী হামলায় করিমগঞ্জ সরকারী কলেজশিক্ষার্থী ও তার মা ও চাচা ফুফি গুরুতর আহত হয়েছেন। বর্তমানে তারা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।

এ  ঘটনায় শনিবার মামলার অভিযোগপত্র ও স্থানীয় এলাকাবাসীর বিবরণে জানা যায়, করিমগঞ্জ উপজেলার মাঝিরকোনা গ্রামের মৃত আ.খালেকের সন্তান মহরম আলীদের সাথে একই গ্রামের আ.রশিদের ছেলে ফারুক গংদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার সকালে আ.রশিদের ছেলে ফারুকের নেতৃত্বে তার ভাই মুসলিম,আরিফ, খোকন ও তার ছেলে আরমান এবং ভাতিজা তুহিন গংদের নিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আ: খালেকের বাড়িতে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরস্পর যোগ সাজশে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বাড়িঘর-ভাঙচুর করে গাছপালা কেটে ত্রাস সৃষ্টি করে। এ সময় আ: খালেকের ছেলে ওমর আলী তাদেরকে বাধা দিলে তাকে রামদা দিয়ে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য পেছন দিক দিয়ে মাথায় কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এসময় করিমগঞ্জ সরকারী কলেজের অনার্স পড়ুয়া আশিকুর রহমান রিয়ান ও তার মা হাবিবা আক্তার লাবনী ওমর আলীকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে তাদেরকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। এ সময় সন্ত্রাসীরা পারুলের গলায় থাকা ৬৫ হাজার টাকা মূল্যের একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয় এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের কবল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।

 এ ঘটনায় দুপুরে করিমগঞ্জ থানা পুলিশ এলাকায় গিয়ে তা পরিদর্শন করেছেন।

সন্ত্রাসী হামলায় গুরুতর আহত ওমর আলী বলেন, গতরাতেও আমাদের বাড়িতে ফারুক গংরা দলবল নিয়ে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে আমাদেরকে অবরুদ্ধ করে মারপিট করে। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় উদ্ধার হয়ে বিষয়টি থানায় অবহিত করে অভিযোগ দিয়ে আসি। শুক্রবার সকালে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হামলা চালিয়ে আমাদেরকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। শান্তি বজায়ে অভিযোগ দিয়েও রেহাই মিলেনি। আমি ঘটনার সাথে জড়িতদেরকে আইনের আওতায় এনে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।

জাফরাবাদের স্থানীয় ইউপি সদস্য সারোয়ার আলম হান্নান বলেন, দীর্ঘ দিন যাবত আ.খালেকের ছেলে ওমর আলীদের সাথে একই গ্রামের আ.রশিদের ছেলে ফারুকদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিলো। গত এক সপ্তাহ যাবত ফারুক গংরা ওমর আলীদের বাড়িতে গিয়ে জমি দাবী করে কোট মেরে গাছপালা কেটে দেন। এ নিয়ে ওমর আলী গংরা দেওয়ানী আদালতে মামলা দায়ের করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ফারুকরা আজ হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। উভয় পক্ষকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেছি।

এ বিষয়ে করিমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার নাম্বারে যোগাযোগ করা হলে কর্তব্যরত কর্মকর্তা মুহাব্বত বলেন, এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়ে শনিবার ঘটনাস্থলে পুলিশ প্রেরণ করেছি। ঘটনার তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

     More News Of This Category